দখিনের খবর ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যাতে করোনাভাইরাস কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত না হয় সে জন্য এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না।
তবে পরিস্থিতি উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময় এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যত এবং সরকার তাদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলছি না, কারণ আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাই যাতে তারা (শিক্ষার্থীরা) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়।
‘এ কারণে আমরা এখনই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলব না। যদি আমরা এই (করোনাভাইরাস) পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারি তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে খুলব।’
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা তার মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতিকে পুরো বিশ্বের জন্য সংকট উল্লেখ করে সকলকে আত্মবিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে বড় বিষয়। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমাদেরকে তার মুখোমুখি হতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই দেশ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়সহ সকল সংকটের মুখোমুখি হব এবং একসঙ্গে কাজ করব এখন যেমন করছি।
‘একসঙ্গে কাজ করে দেশ করোনাভাইরাস মহামারী কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। এটিই লক্ষ্য এবং এটিই সরকারের সিদ্ধান্ত,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শাটডাউন শিথিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, সবকিছু দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। অন্যান্য দেশ পর্যায়ক্রমে তাদের অর্থনীতির চাকা খুলছে।
এ প্রসঙ্গে জনগণের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না বিশ্বের আর কোনো দেশ এতো বিপুল পরিমাণ (এর জিডিপির সমান) প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে কিনা।
Leave a Reply